কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দান সিন্দুকে এবার পৌনে দুই কোটি টাকা পাওয়া গেছে। এ ছাড়া বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ ও রুপার অলংকার ছাড়াও বিদেশি মুদ্রা পাওয়া গেছে।
সর্বশেষ চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি খোলা হয়েছিল দানবাক্স। করোনা পরিস্থিতিতে এবার ৬ মাস ৭ দিন পর খোলা হয়েছে এসব দান সিন্দুক।
আজ শনিবার সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মসজিদের আটটি দান সিন্দুক খোলা হয়। সিন্দুক থেকে টাকা বস্তায় ভরা হয়। পরে শুরু হয় টাকা গণনার কাজ।
কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদ কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক মো. সারোয়ার মুর্শেদ চৌধুরী টাকা গণনার কাজ পরিদর্শন করেছেন। মসজিদ ক্যাম্পাসে অবস্থিত মাদরাসা এবং এতিমখানার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা টাকা গোনার কাজে অংশ নেন। বিকাল সাড়ে ৪টায় টাকা গোনা শেষ হয়।
এর আগে এ বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি দানবাক্স খুলে পাওয়া যায় ১ কোটি ৫০ লাখ ১৮ হাজার ৪৯৮ টাকা এবং বিদেশি মুদ্রা ও স্বর্ণ-রৌপ্যালঙ্কার।
মসজিদটির তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে থাকা জেলা প্রশাসন বলছে, এ সব অর্থ এ মসজিদ, মসজিদ ক্যাম্পাসে অবস্থিত মাদরাসা ও এতিমখানাসহ জেলার সব মসজিদ, মাদরাসা ও এতিমখানার পাশাপাশি বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করা হয়।
মসজিদ পরিচালনা কমিটির প্রবীণ সদস্যদের মতে, এখানে মানত করলে মনের বাসনা পূর্ণ হয়- এমন ধারণা থেকে দেশ-বিদেশের ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষ এখানে এসে দান করে থাকেন।
দানবাক্স ছাড়াও প্রতিদিন নানা শ্রেণি-পেশা আর ধর্মের মানুষ মানত পূরণ করতে ছুটে আসেন পাগলা মসজিদে। নগদ টাকা ছাড়াও তারা নিয়ে আসেন চাল-ডাল-গবাদিপশুসহ বিভিন্ন সামগ্রী। দিন শেষে এসব পণ্য নিলামে বিক্রি করে ব্যাংকে টাকা জমা রাখা হয়।
Source: barta24.com
প্রধান পত্রিকাগুলোর প্রধান প্রধান শিরোনাম দেখতে এখানে ক্লিক করুন
সব পত্রিকা এক জায়গায় দেখতে এখানে ক্লিক করুন
Bangladesh Yellow Page.Get All Bangladesh Information.Click Here
করোনা ভাইরাস - লাইভ আপডেট
# | দেশ | আক্রান্ত | মৃত | সুস্থ |
---|