ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে খুলনার কয়রা উপজেলার প্রায় ১৪ হাজার বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শাকবাড়িয়া ও কপোতাক্ষ নদীর কমপক্ষে সাতটি স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। এতে প্লাবিত হয়েছে এই উপজেলার চারটি ইউনিয়ন।
বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
উপজেলার সহাকারী কমিশনার (ভূমি) নূর-এ-আলম সিদ্দিকী বলেন, চারটি ইউনিয়ন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জোয়ারের পানিতে কয়রা সদর উপজেলার রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। পুকুরে নদীর লোনা পানি ঢুকে মাছ মারা যাচ্ছে। গোটা উপজেলার প্রায় ১৪ হাজার বাড়ি-ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বেদকাশী ইউনিয়নের চারপাশ ঘিরে রয়েছে কপোতাক্ষ ও শাকবাড়িয়া নদী। আইলার সময় ২০১৩ সালে কোনো রকম জোড়াতালি মাধ্যমে বাঁধ দিয়ে পানি আটকানো হয়েছিল। এরপর আর কোনো স্থায়ী বাঁধ হয়নি। ফলে সামান্য ঝোড়ো হাওয়া বা জলোচ্ছ্বাস হলেই আতঙ্কে থাকেন এই এলাকার মানুষ।
বুধবার রাত আটটার দিকে নদীর প্রবল পানির চাপে শাকবাড়িয়া নদীর অন্তত তিনটি স্থান ভেঙে পুরো এলাকা তলিয়ে গেছে। পরে আরও অন্তত সাতটি স্থান ভেঙে যায়। রাতেই মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন ভালো থাকা বাঁধের ওপর। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনুমান করা যায়নি। তবে কয়েকশ কাঁচা ঘর ভেঙে পড়েছে। কোনো প্রাণহানির খবর পাওয়া না গেলেও গবাদিপশু-পাখির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বেদকাশী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জি এম শামসুর রহমানের ছেলে জি এম মশিউর রহমান বলেন, প্রবল জোয়ারের পানির চাপে ইউনিয়নের গোলখালী, আংটিহারা, ঘড়িলালসহ আরও কয়েকটি স্থানের বাঁধ ভেঙে গেছে। পুরো ইউনিয়ন পানিতে তলিয়ে আছে।
Source: www.prothomalo.com
প্রধান পত্রিকাগুলোর প্রধান প্রধান শিরোনাম দেখতে এখানে ক্লিক করুন
সব পত্রিকা এক জায়গায় দেখতে এখানে ক্লিক করুন
Bangladesh Yellow Page.Get All Bangladesh Information.Click Here
সাহরী ও ইফতারের সময়সূচি,রোজার নিয়ত ও ইফতারের দোয়া দেখতে এখানে ক্লিক করুন